হিমাচল প্রদেশের ছোট্ট অঞ্চল ভরমৌর পির পাঞ্জাল ও দৌলাধর রেঞ্জের মাঝখানে রয়েছে, উভয় দিক দিয়ে রবি ও চানাব নদি বয়ে গেছে। আল্পসের পাশাপাশি আপনি এখানে সুন্দর ফলবাগিচা ও তাছাড়া খেতবাগিচা দেখতে পাবেন আর ভরমৌরে রয়েছে 84টি শিবালিঙ্গ স্টাইলের মন্দির যাদের একসাথে ‘চৌরাসি মন্দির’ বলা হয়। মন্দিরের এখান থেকে উপত্যকার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন ও বয়ে চলা নদি দেখতে পাবেন।
নিটকবর্তী রেলস্টেশন: পাঠানকোট ক্যানটনমেন্ট রেলওয়ে (180 কিমি দূরে)
প্রধান দর্শনীয় জায়গা
মনিমাহেশ মন্দির: মন্দির প্রাঙ্গনের ঠিক মাঝখানেই এই মন্দিরটি রয়েছে আর রয়েছে একটি বিশাল শিব লিঙ্গ। কথায় বলে যে, 84 জন সিদ্ধা নাকি কুরুক্ষেত্র থেকে মনিমাহেশে যাত্রা করার সময়ে ভরমৌরের একাকিত্ব, শান্ততা এবং সৌন্দর্য্য দেখে এখানে সময় কাটিয়েছিলেন এবং ধ্যান করেছিলেন।
গনপতি মন্দির: ঢোকার মুখেই এই মন্দিরটি রয়েছে, আর তাতে রয়েছে ব্রোঞ্জের বড় আকারের গনেশের মূতি যার দুই পা কিন্তু নেই। এমনটা বলা হয়ে থাকে যে, ভরমৌরে যখন কিরা আক্রমণ ঘটে তখন গনপতি মন্দিরে নাকি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং তখনই গনেশের পা ভেঙে যায়।
লকশানা দেবী মন্দির: এখানকার 84টি মন্দিরের মধ্যে নাকি সবথেকে পুরনো মন্দির এটি, দেবী দুর্গার 4টি অস্ত্রসজ্জিত মহিষাসুরমর্দিনী এই মন্দিরে রয়েছে। এই মন্দিরের বাঁকানো প্রবেশপথ যেন নিখুঁত ভাবে বানানো।
নরসিংহ মন্দির: এই মন্দিরে নরসিংহার এক নজরকাড়া ব্রোঞ্জের মূর্তি রয়েছে, ভগবান বিঞ্চুর অর্ধ মানব অর্ধ সিংহের অবতার।
ধরমরাজ মন্দির: চোরাশি মন্দির প্রাঙ্গনের উত্তর কোণে অবস্থিত এই মন্দিরটি ‘চূড়ান্ত বিচারের দেবতা’ ধরমরাজকে নিবেদিত। স্থানীয় মানুষদের বিশ্বাস যে, বিদায় জানানো প্রতিটি আত্মাকে এই মন্দিরে আসতে হয় এবং মৃত্যুর পরে শিবা লোকে বিচরণ করার জন্য অনুমতি নিয়ে হয়।
প্রমোদভ্রমণ
ভরমানি মাতা মন্দির: এই মন্দির 8000 ফুট উঁচুতে অবস্থিত তাই একদিক এখানে কাটালে আপনার বেশ ভালোই লাগবে। এটি মন্দির ভরমৌর শহর থেকে প্রায় 4 কিমি দূরে অবস্থিত।
মনিমহেশ হ্রদ: হাডসার (ভরমৌর থেকে 13 কিমি) থেকে দুই দিক ট্রেক করে মনিমাহেশ হ্রদে পৌঁছানো সম্ভব যা কষ্টকর হতে পারে তবে আনন্দও লুকিয়ে আছে।