ভারতে পর্বতে রেলপথ ব্রিটিশের দেওয়া অন্যতম মূল্যবান উপহার। আমরা পর্বতে ঘোরার সবথেকে বেশি মজা এখানেই পেতে পারি। আপনি হয়তো জানলে খুশি হবেন যে আজকের দিনে সারা বিশ্বে যে 20টি ন্যারো গজ মাউন্টেন রেলওয়ে চালু রয়েছে তার মধ্যে কিন্তু ছয়টিই রয়েছে আমাদের দেশে। হিমালয়ের মাঝের অংশে ঘুরে বেড়ানোর সেরা পর্বত রেলওয়ের কথা আসুন জেনে নিই।
কালকা-সিমলা রেলওয়ে
কালকা-সিমলা রেলওয়ে করে যাত্রা দারুণ মজাদার হবে। পাইন ও দেবদারু গাছের অরন্যের ভিতর দিয়ে যখন টয় ট্রেন অনেক হিল ও টানেল পার হয়ে যাবে তখন আপনি সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের ভরপুর আনন্দ নিতে পারবেন। যাত্রাপথে মাঝে মাঝে টয় ট্রেন থামবেও। ট্রেনে যারা বসে যাত্রা করবেন তাদের কাছে ট্রেনের ইকো হওয়া হুটারও এক নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে। যাত্রাপথের সব প্রধান স্টেশনেই যাত্রীদের জন্য থাকার ব্যবস্থা আছে। আসার আগেই ট্রেন ও থাকার জায়গা বুক করে নিতে পারবেন অথবা যারা আগে আসবেন তাদেরকেই দিয়ে দেওয়া হবে।
কাংগ্রা ভ্যালি রেলওয়ে
এই পথে যাত্রা করার সময়ে যাত্রীরা বরফ ঢাকা পর্বতমালা এবং সবুজ ক্ষেত দেখার সৌভাগ্য অর্জন করেন। বনগঙ্গা নদীর বয়ে চলা পথ এবং দী কাংগ্রা খাদ আপনাকে এক অনাবিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের সামনাসামনি করবে। পালামপুরের দিকে এগিয়ে চলার সময়ে পর্বতচূড়ার বরফ ঢাকা চূড়া ট্রেন থেকে অনেক কাছে বলেই মনে হবে। তারপর থেকে ট্রেন সমান্তরাল রাস্তা ধরে, দৌলাধর পর্বতমালার গা ঘেষে চলতে থাকে।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে
পর্বতের চড়ার সময়ে, ট্রেনটি ভারতের সবথেকে উঁচু রেলওয়ে স্টেশন ঘুমে থামবে। লম্বা লম্বা গাছেদের সারি বেয়ে ট্রেন চলবে, কুঁড়েঘর দেখতে পাবেন, ফুল গাছ এবং মোমোর গন্ধ, সবমিলিয়ে আপনি পর্বত ও তার অফুরন্ত সৌন্দর্য্যকে খুব কাছে থেকে জানতে পারবেন। এই ঐতিহ্যবাহী টয় ট্রেনে আপনি সময়কে এক জায়গাতেই ধরে রাখতে চাইবেন। আপনি চাইবেন সময় যেন এখানেই থমকে থাকে।