আমাদের দেশে স্বাধীনতাপূর্ব স্বতন্ত্র ডাক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে আজ আমাদের কাছে বিশ্বের বৃহত্তম ডাক নেটওয়ার্ক আছে | কিন্তু এর সম্পর্কে বড়াই বন্ধ না করে ভারতের অদ্ভূত ডাকঘরের লিস্ট বানাই |
- ভারতের প্রথম ভাসমান ডাকঘর !
ডাল লেক , জম্মু এবং কাশ্মির
জম্মু এবং কাশ্মিরের শ্রীনগরের সব থেকে প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে ডাল লেক যা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত এবং তার মুকুটে আরেকটি মণি হচ্ছে ভারতের প্রথম ভাসমান ডাকঘর!এটি একটি হেরিটেজ ডাকঘর হচ্ছে যা আগে নেহরু পার্ক পোস্ট অফিস নাম জানা যেত , কিন্তু ২০১১ তে এর নাম বদলান হয় | একটি বিশাল হাউসবোটে স্থিত এই ডাকঘরে আছে ফিলাটেলি মিউজিয়াম (যা এই রাজ্যের ডাকবিভাগের ডাকটিকেটের ইতিহাস কে ট্রেস করে)এবং একটি দোকান আছে যা অন্যান্য জিনিস যেমন পিকচার পোস্টকার্ড , গ্রীটিং কার্ড , স্থানীয় স্মারক , ষ্টেশনারী , কাশ্মীরের ওপর লেখা বই ইত্যাদির সঙ্গে ডাকটিকিট ও বিক্রি করে |
এই ভাসমান ডাকঘরে ববহৃত সীল ও অনবদ্য – তাতে তারিখ এবং ঠিকানা ছাড়াও ডাল লেকে শিকারা চালান নৌবাহকের নকশা আছে |
- বিশ্বের সর্বোচ্চ ডাকঘর
হিক্কিম , হিমাচল প্রদেশ
১৫,৫০০ ফিট উচ্চতায় স্থিত হিক্কিমের ডাকঘর বিশ্বের সব থেকে উচু ডাকঘর হচ্ছে যার উদঘাটন ৫ নভেম্বর ১৯৮৩ তে করা হয় এবং তবে থেকে রিনচেন ছেরিং এখানকার পোস্টমাস্টার হচ্ছেন | হিমাচল প্রদেশের লাহুল স্পিতি জেলার অন্তর্গত হচ্ছে হিক্কিম গ্রাম |এই ডাকঘর বছরে ৬ মাস বরফের কারণে বন্ধ থাকে |
এখানে আশপাশের নিকটবর্তী মঠ থেকে সন্ন্যাসীরা তাদের পাসপোর্ট নেবার জন্য আসেন যাতে তারা বাইরে যেতে পারেন এবং স্থানীয় কৃষকরা এখানে তাদের সেভিংস একাউন্ট রাখেন আর কৌতুহলী পর্যটক পোষ্টকার্ড পাঠাতে আসেন |
- ভারতের বাইরে ভারতীয় ডাকঘর
দক্ষিণ গঙ্গোত্রী পি ও , আন্টার্কটিকা
আন্টার্কটিকার দক্ষিণ মহাদেশে তৃতীয় ভারতীয় অভিযানে সময় ২৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৮৪ এ এই ডাকঘর শুরু করা হয় | এটি একাধিক বিষয়ে সাহায্য করত যেমন বরফ গলার প্লান্ট , ল্যাবরেটরি, স্টোরেজ এবং রেক্রিয়শনের সুবিধা প্রদান করত | কিন্তু ২৬ জানুয়ারী ১৯৮৮ এ দক্ষিণ গঙ্গোত্রী পি ওর স্থাপনাকরা হয় ডিপার্টমেন্ট অফ পোস্ট এর অধীনে গোয়া তে | বিজ্ঞানীক জি সুধাকর রাও যিনি ১৯৮৭ এ আন্টার্কটিকা তে সপ্তম ভারতীয় বৈজ্ঞানিক এক্সপিডিশনের সদস্য হিসাবে যান এবং এর প্রথম অনারারি পোস্টমাস্টার হন | পরে ১৯৯০ তে দক্ষিণ গঙ্গোত্রী পি ও কে বন্ধ করা হয় যখন এটি আধেক বরফে ডুবে যায় |
এই স্ট্যাম্প ইসু করা হয় আন্টার্কটিকার বরফে ঘেরা পি ও বিল্ডিং কে স্মরণ করার জন্য |
আমরা একটি সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ হচ্ছি যার প্রত্যেক কোনে অনেক অদ্ভূত জিনিস আচ্ছে , কিন্তু বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসাবে ভারত একটি ক্রমবর্ধমান তারকা মত চমকাচ্ছে |