মাজুলী দ্বীপ – পশ্চিমের হারিয়ে যেতে বসা সৌন্দর্য্য

0
2429

ব্রম্ভপুত্র থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং আসামের উপরের দিকে সুবানশিড়ি এবং খেরকেতিয়া নদী দুইটির মাঝখানে জায়গা করে নেওয়া এই মাজুলী দ্বীপ সত্যিই অবিশ্বাস্য। এখানকার আবহে এবং পরিবেশে এক পুরনো বিশ্বের ছোঁয়া আছে। এখনকার ব্যস্ত জীবনে যদি আপনি একটু থামতে চান তাহলে মাজুলী হল আপনার একেবারে সঠিক জায়গা।

গ্রাম্য জীবনকে জানুন – মাজুলীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, সংস্কৃতি এবং শিল্পকলা সহজ সরল ভাবে জীবনযাপনের প্রতি আমাদের আস্থাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। রাস্তার ধারের কিছু সুন্দর জায়গায় আপনি হয়তো নিজেকে হারিয়ে আবার খুঁজে পাবেন।

On a birding trail

পাখিদের মাঝে – পাখিদের গান শুনে মাজুলী জেগে ওঠে। নদীর ধাপে সারি সারি পাখিদের দল বাস করে, সবুজে সূর্যস্নান করে এবং জীবজন্তুদের সাথে মিলেমিশে খেলা করে।

Get lost in the wilderness
বন্য জীবনে হারিয়ে যান – হলুদ ক্ষেত দেখে আপনি মন খুলে হাসতে চাইবেন, গাইতে চাইবেন, নাচতে চাইবেন। বন্য জীবন, শীতল বাতাস আর দূর থেকে আসা সূর্যের মৃদু আলো আপনাকে অন্য এক দুনিয়ায় নিয়ে চলে যাবে।
আদিবাসী জীবনের কাছাকাছি – আসামের সম্ভবত অন্যতম রঙীন আদিবাসী জাতি মিশিং আদিবাসী জাতির সাথে পরিচিত হোন। মিশিং আদিবাসীরা তাদের অতি জনপ্রিয় গাডু চাদর বানানোর জন্য পরিচিত।

Monasteries and Monasteries
মঠ – মাজুলী ছিল নিও-বৈষ্ণবৈত মুভমেন্টের প্রাণকেন্দ্র আর তাই এখানে আপনি দেখতে পাবেন প্রচুর সত্রা অর্থাৎ মঠ যা শ্রিমন্ত শঙ্কবাদেবাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। ওনিয়াতি সত্র, দখিনপত সত্র এবং বেঙ্গেনাত্তি সত্র হল জনপ্রিয় সত্রগুলির কয়েকটি।

Brahmaputra Cruising
ব্রম্ভপুত্র ত্রুজ – বিপুল ব্রম্ভপুত্রে বোটিং করার অভিজ্ঞতাই আলাদা। ফেরিতে বসে দীগন্ত জুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য গা ভাসানো যেন এক বিলাসিতার মতোই লাগে।
কীভাবে যাবেন?
জোরহাটে ফেরিতে করে নেমাতি ঘাট থেকে আপনি মাজুলীতে পৌঁছে যেতে পারবেন। আপনি মাজুলীর লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্য্যকে খুঁজে নিতে সাইকেল করেও যেতে চাইতে পারেন। নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন হল জোরহাট। গুয়াহাটি থেকে সাত ঘণ্টার ট্রেনযাত্রা করে আপনি জোরহাট পৌঁছাতে পারবেন।