সুন্দরবন পশ্চিম বঙ্গের সর্বাধিক দেখা পর্যটন স্থান হচ্ছে যা বিশ্ব বিখ্যাত রয়াল বেঙ্গল টাইগারের সব থেকে বড় প্রাকৃতিক বাসস্থান হচ্ছে | কিন্তু বাংলার এই এলাকাতে গরান গাছের জলাভূমি ছাড়াও ঘোরার জন্য অন্য অনেক বিকল্প আছে | পর্যটকরা তাদের ভ্রমণের পরিকল্পনার মধ্যে নিম্নে বর্ণিত জায়গাগুলি কে জুড়তে পারেন এবং সব থেকে ভালো ব্যাপার হচ্ছে যে এই সব জায়েগা গুলো তে আপনি ঘুরতে যেতে পারবেন সুন্দরবন কে কেন্দ্র করে |
সজনেখালির পাখীর অভয়ারণ্য : আপনি এখানে অনেক বহিরাগত পাখি দেখতে পাবেন (যেমন স্পটেড বিলড পেলিক্যান্ , ক্যাস্পিয়ান টার্ন , ফিশ ঈগল , হোয়াইট বেলিড সী ঈগল , অস্প্রিয় হেরিং গাল , ওপেন বিলড স্টর্ক), বিভিন্ন রকমের হেরন (যেমন গ্রীন ব্যাকড হেরোন , পার্পল হেরোন, নাইট হেরোন , গ্রে হেরোন ) এবং হোয়াইট আইবিস কিংফিসার , এগ্রেট , প্যারাডাইস ফ্লাইক্যাচার ইত্যাদি | এখানে শীতের সময় এশিয়ান ডুউইচার্স এখানে অভিপ্রয়াণ করে |
কপিল মুনির আশ্রম : গঙ্গাসাগর বা সাগরদ্বীপ যা গঙ্গা নদী এবং বে অফ বেঙ্গলের সঙ্গমস্থলে অবস্থিত সেখানে এটি স্থিত | এটি কলকাতা থেকে নামখানার মধ্য দিয়ে সহজে যাওয়া যায় | এটি হিন্দুদের তীর্থস্থল এবং প্রতি বছর মকর সংক্রান্তি তে অগুনিত তীর্থযাত্রী এখানে আসেন পুজো করার জন্য এবং পবিত্র জলে ডুব দেবার জন্য , কারণ তাদের বিশ্বাস যে তা করলে তাদের পাপ ধুয়ে যাবে |
কনক : সুন্দরবনের কনক দ্বীপের সমুদ্র সৈকতে আছে অলিভ রিডলি কচ্ছপদের সুন্দর বাসা (যা বিশ্বের সব থেকে ছোট কচ্ছপ এবং একটি বিপন্ন প্রজাতি হচ্ছে) যা সুমদ্রের মুখ থেকে ১০০ কিমি যাত্রা করে আসে সুন্দরবনের অগভীর জলে জন্ম দেবার জন্য | এখানকার আরেকটি আকর্ষণ হচ্ছে বাঘ | এছাড়াও যাত্রীরা বিশাল ডলফিন, শুশুক, ফিশিং বিড়াল, ভারতীয় শিয়াল, জঙ্গল বিড়াল, ভারতীয় সিভেট , ধূসর নকুল, হরিণ, বন্য শূকর, বাদুড়, বানর এবং প্যানগালিন জঙ্গলে দেখতে পাবেন |
জম্বু দ্বীপ : একটি গরান গাছের দ্বীপ যা বকখালি থেকে ৩০ – ৪৫ মিনিটে নৌকোতে যাওয়া যাবে | এটি কলকাতা শহর থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের উপদ্বীপীয় অঞ্চলে অবস্থিত | এটি একটি ছোট দ্বীপ হচ্ছে যা একঝলকে দেখা হয়ে যায় | এই অদ্ভূত সুন্দর দ্বীপে খুব অল্প লোকজন আসে | ভ্রমণকারীরা এখানে পরিযায়ী পাখি, সমুদ্রের পাখি এবং লাল কাঁকড়া দেখতে পাবেন |
হেনরি দ্বীপ : কলকাতা থেকে ১৩০ কিমি দুরে বকখালি তে অবস্থিত এই দ্বীপে এমনিতে কেউ আসে না | এই অদূষিত সৈকতে যাবার রাস্তা যেন মনে হয় কোন নিখুঁত ফটোগ্রাফির বই থেকে উঠিয়ে আনা হয়েছে | আপনি সৈকতে যাবার আগে গাছের ঘন সবুজ শামিয়ানা প্রায় একটি অবতল প্রবেশদ্বার তৈরী করে | এখানকার বালি চকচকে এবং সাদা, এবং জল নীল-সবুজ | এটা একটি শান্ত গেটওয়ের জন্য নির্ভুল |
Originally written by Samadrita Bhattacharjee. Read here