গঙ্গার আরতির কথা উল্লেখ সবার প্রথমে আমাদের মাথায় আসে বারাণসীর নাম। গঙ্গার আরতির জন্য বারাণসী বিখ্যাত বটে কিন্তু এমন অনেক অন্য শহরও রয়েছে যেখানে আপনি প্রায় একই ধরনের অভিজ্ঞতাই পেতে পারবেন।
শ্রী রাম ঘাট, উজ্জ্বয়ন, মধ্যপ্রদেশ
শিপ্রা নদীর ধারে অবস্থিত শ্রী রাম ঘাট হল উজ্জ্বয়নের অন্যতম পুরাতন ঘাট। হরসিদ্ধি ঘাটের খুব কাছেই অবস্থিত। দিনের বেলায় নদীতে স্নান করাকে পবিত্র বলে মানা হয়। পন্ডিতেরা লম্বা পোশাক পড়ে হাতে বাতি নিয়ে সন্ধ্যা বেলায় আরতি করেন।
নিকটবর্তী রেলস্টেশন: উজ্জ্বয়ন রেলওয়ে স্টেশন
গান্ধি ঘাট, পাটনা, বিহার
গান্ধি ঘাটে, পুরোহিতরা 51 টি বাতি নিয়ে আরতি করেন। শাক বাজিয়ে শুরু করা হয় এবং ধূপ জ্বালানো হয়। আরতি মূলত সপ্তাহান্তেই করা হয়। আরতি ভালো করে দেখতে পর্যটকেরা চাইলে BSTC বোট বুক করতে পারবেন।
নিকটবর্তী রেলস্টেশন: পাটনা
সঙ্গম ঘাট, এলাহাবাদ, উত্তরপ্রদেশ
এই ঘাটে গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর মিলন ঘটেছে। ভক্তেরা এখানে পূর্ণ স্নান করেন এবং সন্ধ্যায় গঙ্গা আরতি দেখার অপেক্ষায় থাকেন। পুরোহিতেরা রঙীন পোশাক পড়ে, ধূপ কাঠি জ্বালিয়ে, বাতি নিয়ে পূজা করেন। মন্ত্র যপ করা হয় এবং পুরো আবহ ঐশ্বরিক হয়ে ওঠে।
নিকটবর্তী রেলস্টেশন: এলাহাবাদ
পরমর্থ নিকেতন আশ্রম ঋষিকেশ, উত্তরাখন্ড
আরতির মধ্য দিয়ে আধ্যাত্মিক সিদ্ধি লাভ হয়। এখানে আরতি আশ্রমের বাসিন্দারা করে থাকেন। তারা ভক্তিগীতি করেন, প্রার্থনা করেন, অগ্নি যজ্ঞ করেন এবং বাতি জ্বালান। ঘাট মানুষের ভিড়ে ভরে যায় তাই একটু সময় থাকতে আসাই ভালো।
নিটকবর্তী রেলস্টেশন: হরিদ্বার
হার-কি-পৌরি ঘাট, হরিদ্বার উত্তরাখন্ড
উৎসাহী পর্যটকদের কাছে হরিদ্বারে গঙ্গার আরতি হল “সবথেকে সুন্দর এক অভিজ্ঞতা”। এখানকার আরতিতে যেন সবকিছুই আছে – প্রচুর মানুষের সমাগম, সুন্দর পোশাকে পুরোহিত, সাধু, বিভিন্ন দেবতার মূর্তি, লাউড স্পীকার, ঘণ্টা ধ্বনি, ভক্তিভরে গান, সুগন্ধি ধূপ, ফুল আর আছে অগ্নিশিখা।
নিকটবর্তী রেলস্টেশন: হরিদ্বার