রেলযাত্রী এবং তাদের পার্টনার রেস্তোরাঁগুলি ট্রেনে পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন খাবার পরিবেশন করতে পরিশ্রুতিবদ্ধ। রান্নাঘরে পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে কিছু বিষয়ের তালিকা বানানো হয়েছে যা মেনে চলা অতি আবশ্যক।
স্টোর করে রাখা
আপনি যে সব ভালো মানের প্রোডাক্ট কেনেন তা কিন্তু বেশ দামী হয়। আর তাই তাদের স্টোর করে রাখার জন্য আপনি যদি যথাযথ পরিকল্পনা করেন তা আসলে ভালো কাজই হবে।
ফার্স্ট ইন, ফার্স্ট আউট: প্রোডাক্টের আয়ু এবং মেয়াদ দেখে তাদের ব্যবহার করা খুবই জরুরি এক বিষয়। প্রোডাক্ট স্টোর করে রাখার সময়ে, সদ্য আসা জিনিসগুলি আপনার ফ্রিজের ভিতরের দিকে রাখুন, আর অপেক্ষাকৃত পুরনোগুলি সামনে রাখুন।
সবকিছুতে লেবেল লাগিয়ে রাখুন: খাবারের প্যাকেটে তারিখের কোড খুব ছোট করে লেখা থাকলে, স্টোর করে রাখার আগে তারিখ বড় হরফে লিখে রাখুন।
মাংস ইত্যাদি নীচের দিকের শেলফে রাখুন।
খাবার বায়ু ঢুকতে পারবে না এমন ভাবে আটকে রাখা পাত্রেই রাখতে হবে।
কোল্ড স্টোরেজ: স্টোরেজ রেফ্রিজেটরে 0 -8 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খাবার রাখতে হবে।
খাবার রান্না করা
রান্নাঘরে সবকিছু পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন রাখার এক বিশেষ অংশ হল পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন ভাবে খাবার রান্না করা।
খাবার আলাদা করে রাখা: স্টোর করে রাখার সময়ে অথবা বানানোর সময়ে, কাঁচা খাবার এবং রান্না করা খাবার কিন্তু আলাদা করে রাখতে হবে। খাবার রান্না করার সময়ে, রান্না করার জায়গা খুব ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
রান্না করা এবং ঠান্ডা করে নেওয়া: খুব ভালো করে রান্না করুন, যাতে খাবারে কোনও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থেকে না যায়। মাংস রান্না করার আগে তা ফ্রিজ থেকে বের করে ঘরের তাপমাত্রায় আনুন এবং তারপরে রান্না করুন। আপনি রান্না করার সাথে সাথেই পরিবেশন করতে পারেন অথবা পরিবেশন করার আগে পর্যন্ত তা যেন গরম থাকে তা মাঝেমধ্যে দেখে নিন। আগে থাকতে খাবার রান্না করলে, তা দ্রুত ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখুন। ফ্রিজে না রাখলে তা 2 ঘণ্টা পরে আর ব্যবহার করবেন না।
প্যাকেটে রাখা
খাবার সঠিক ভাবে প্যাকেটে করে রাখা খুবই জরুরি এক বিষয়।
গরম এবং ঠান্ডা খাবার আলাদা করে রাখুন: ট্রেনের ডেলিভারি কর্মীদের খাবার উপযুক্ত তাপমাত্রায় রাখতে আলাদা করে ইনসুলেট করা গরম এবং ঠান্ডা ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
দ্রষ্টব্য: রেলযাত্রী অত্যাধুনিক থার্মোসতে দুধ, স্যুপ, চা ইত্যাদি পানীয় প্যাক করে।
সাইড ডিশগুলিকে তাদের নিজেদের জায়গায় রাখুন: সব খাবার তাদের নিজস্ব পাত্রে রাখুন, যাতে গ্রাহকদের কোনও অসুবিধা না হয়।
দ্রষ্টব্য: রেলযাত্রী ‘ওহ মিল বাক্স’ করে খাবার পরিবেশন করে, এই ধরনের বাক্স থেকে খাবার লিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
কর্মীদের পরিষ্কারপরিচ্ছনতা
রেস্তোরাঁর রান্নাঘরের কর্মীদের ব্যক্তিগত ভাবে পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন থাকা কিন্তু খুবই জরুরি। তারা যেন ভালো করে হাত ধুয়ে নেন সেই দিকে খেয়াল রাখুন। তাছাড়া তারা যেন রান্নাঘরে ঘুমপান না করেন, হাঁচি অথবা কাশি এড়িয়ে চলেন, অথবা কড়া গন্ধের কোনও সুগন্ধি ব্যবহার না করেন। খাবার রান্না করার সময়ে তারা যেন দস্তানা পড়ে থাকেন।
পেস্ট কন্ট্রোল এবং ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট
রান্নাঘরে যাতে কীটপতঙ্গ বা ইঁদুরের উপদ্রব না থাকে তার জন্য রান্নাঘর পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন রাখুন।
রেস্তোরাঁর বিল্ডিং এবং রান্নাঘরে নিয়মিত পেস্ট কন্ট্রোল করাতে হবে।
ফেলে দেওয়ার সবকিছু জিনিস কীটপতঙ্গ আক্রান্ত না হওয়া পাত্রেই রাখতে হবে।
ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা খাবার সঠিক ব্যবস্থায় ফেলতে হবে।