মঙ্গলাজোডি : পাখি পর্যবেক্ষকও প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য পরম স্বর্গ

0
2412

মঙ্গলাজোডি পাখি পর্যবেক্ষকদের জন্য স্বর্গ হচ্ছে | ২০০ র বেশি পরিযায়ী পাখি শীত শুরু হবার সাথে সাথে মঙ্গলাজোডির হওয়া তে জীবন ভরে দেয় |উড়িষ্যার উত্তর – পূর্ব প্রান্তে স্থিত চিল্কা ঝিল এবং মঙ্গলাজোডি পাখি পর্যবেক্ষকদের জন্য স্বর্গ হচ্ছে | এই সব পাখিরা অনেক বড় সংখ্যা তে এখানে এসে জোটে শালুক ফুলের মাঝে যা দেখতে অপূর্ব সুন্দর লাগে | মঙ্গলাজোডি গ্রামে বাঁশ ও আম গাছ একটি প্রাকৃতিক বাতাবরণ তৈরি করে যা সারা বছর যাত্রীদের অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে , কিন্তু নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারীর তে শীতের সময় পাখি দেখা এবং নৌকা যাত্রার সঠিক সময় | এই সুন্দর নীল হ্রদ এবং হাজার হাজার পাখি উজ্জ্বল সূর্যালোকের উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে এবং মাঝে মাঝে সাদা কালো মেঘ উড়ে আসছে , এই দৃশ্য যাত্রী কে সম্মোহিত করে পৃথিবীর এই অংশে ঘুরতে আসার জন্য|

এক দশক আগে মঙ্গলাজোডি গ্রামের অধিবাসীরা পাখির চোরাশিকারে যুক্ত ছিল, তারা বেশিরভাগ সময় পাখিদের বিষ খাইয়ে বা গলা মুচড়ে মারত , কারণ গলা মুচড়ে মারা পাখির বেশি চাহিদা অনেক বেশি ছিল এবং তা স্থানীয় লোকেদের জীবনধারণের জন্য ভালো টাকা আয় করতে সাহায্য করত |স্থানীয় লোকেদের চিন্তাধারা বদলান খুবই জরুরী ছিল এই সুন্দর স্বর্গ কে বাচানোর জন্য | আজ কের স্থিতিতে মঙ্গলাজোডি নিজেকে বিশ্বের পর্যটনের মানচিত্রে স্থাপন করেছে তার অনবদ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি এবং চিল্কা ঝিলের এই এলাকায় পরিযায়ী পাখির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সমাবেশের ফলে |

মঙ্গলাজোডি তে প্রকৃতির আদিম সৌন্দর্য উপস্থিত এবং তার সঙ্গে এই সুন্দর পরিযায়ী পাখিদের উপস্থিতি মনকে মুগ্ধ করে | আপনি যখন প্রকৃতিরএই আশ্চর্যজনক মাস্টার স্ট্রোকে তে বেড়াতে যাবেন , তখন আপনার ক্যামেরা এবং বাইনোকুলার নিতে ভুলবেন না কিন্তু | প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও মঙ্গলাজোডি আপনা কে দেবে চিল্কার মুখে জল আনা চিংড়ি যা কোনো খাদ্য রসিকের রসনা পরিতৃপ্ত করে , তাই তা খেতে ভুলবেন না |

কি করে পৌঁছবেন : মঙ্গলাজোডি ভুবনেশ্বর থেকে ৭৫ কিমি দুরে স্থিত এবং বাস এবং বাইক দ্বারা পৌঁছন যায়| মঙ্গলাজোডির সব থেকে কাছের রেলওয়ে স্টেশন হচ্ছে মুক্তেশ্বর এবং কালুপারা ঘাট স্টেশন যা এক্সপ্রেস ট্রেন দ্বারা ভালো ভাবে সংযুক্ত| সব থেকে কাছের বাস স্টপ হচ্ছে টাঙ্গি |