ভারতের পশ্চিম উপকূলে ভাস্কো ডা গামা আসার প্রায় এক শতাব্দী পরে হুগলী নদীর কিনারাতে ইউরোপীয় উপনিবেশ বাড়তে শুরু করে , যা আজকের হুগলী জেলা হচ্ছে| তারা অনেক বড় বড় নির্মান করেন , স্থানীয় ভাষা এবং খাবারে তাদের ছাপ ছেড়ে যান |
আসুন আমরা বাংলায় ইউরোপীয় অতীত কে জানি –
ব্যান্ডেলের পর্তুগিজ অবশেষ
- পর্তুগিজদের শক্ত গ্রাস – ইউরোপীয়দের মধ্যে পর্তুগিজরাই প্রথম বাংলাতে বসতি স্থাপন করে এবং সেখানকার প্রথম খ্রীষ্টান চার্চের নির্মান করেন | আজ বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা বাংলার এই ঐতিহাসিক চার্চে ঘুরতে আসেন | ব্যান্ডেলের পনির বাংলায় পর্তুগিজদের খাবারের সম্ভবত শেষ চিহ্ন হচ্ছে |
চিন্সুরাহ তে ডাচ অবশেষ
- ডাচ ঐতিহ্যর অবশেষ – চিন্সুরাহ একসময় কেনাবেচার জন্য ঐশ্বর্যশালী ডাচ বন্দর ছিল|এডওয়ার্ড সপ্তমের সম্মানে ইংরেজদের দ্বারা বানান ক্লক টাওয়ার, ডাচ কবরস্থান এবং সুজানা আনা মারিয়ানার সমাধি এখানকার প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে |
শ্রীরামপুরে ডেনিশ অবশেষ
- ডেনিশ আনন্দ – ১৮১৮ তে তৈরী শ্রীরামপুর কলেজ , তার বিশাল সম্মুখভাগে, ডেনিশ শ্রীরামপুরের মহিমান্বিত দিন কে মনে করায় |ডেনিশ সময়কার দুটি কবরস্থান এখানে আছে |
এক টুকরো ফ্রান্স – চন্দননগর এখনও তার ফরাসি ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করে এবং অনেক স্কুল এখানে ফরাসি কে তৃতীয় ভাষা হিসেবে শেখায় | এই শহরে অনেক মন্দির আছে যার মধ্যে একটি হচ্ছে নন্দদুলাল মন্দির | হুগলির বরাবর ঔপনিবেশিক ভবনগুলি এখনও সবচেয়ে সুন্দর বলা হয় |