‘সুবিধা’ ট্রেনের নিয়ম যা আপনার জানা প্রয়োজন:

0
6342
Bengali Railway blog

মানুষের যাত্রা সহজ করার জন্য এই ট্রেনের উৎপত্তি। তাই সেই ট্রেনে চড়ার আগে নিয়মগুলো যাত্রীদের কাছে প্রায়ই অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই ‘সুবিধা’ ট্রেনের টিকিট কেটে আপনার যাত্রা সহজ করার আগে নীচে লেখা তাদের কিছু নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন।

বুকিংয়ের সময়:

উৎসবের মরসুমে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে টিকিট ছাড়া ট্রেনে চলা যাত্রীদের কাছে এই ট্রেন এনেছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। সেই কারণে ‘সুবিধা’ ট্রেনের টিকিট কাটা যায় সর্বোচ্চ ৩০ দিন আগে পর্যন্ত আর সর্বনিম্ন ১০ দিন আগে পর্যন্ত। অনলাইন এবং টিকিট কাউন্টার, দু’ভাবেই এই টিকিট কাটা যায়।

অনেক রকমের ট্রেন:

Bengalis blog on suvidha train

‘সুবিধা’ ট্রেন তিন রকমের। প্রথম ভাগে পড়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) ট্রেন। যাদের স্টপেজ খুব কম। রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো। দ্বিতীয় রকমটি হল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ছাড়া, দু’রকমের ট্রেন। কিন্তু তাদেরও স্টপেজ খুব কম। যেমন দুরন্ত এক্সপ্রেস। তৃতীয় ভাগে রাখা ট্রেনগুলোরও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কামরা এবং সাধারণ কামরা থাকে। যেমন বিভিন্ন এক্সপ্রেস ট্রেন। কিন্তু এই ট্রেনগুলোর স্টপেজ ঘন ঘন। টিকিটের দাম বিভিন্নরকম। নির্ভর করে কোন ‘সুবিধা’ ট্রেন পছন্দ করা হচ্ছে তার ওপর।

টিকিটের দাম এবং ছাড়:

‘সুবিধা’ ট্রেনগুলোর টিকিটের মূল্যনীতি বেশ প্রগতিশীল। প্রত্যেকটি সিটের ধার্যমূল্যের ২০ শতাংশ বাড়িয়ে স্থির করা হয়েছে। কিন্তু সর্বোচ্চ ভাড়া তৎকালের ভাড়ার চেয়ে যেন তিনগুণ বেশি না হয়। যদি কোনও ‘সুবিধা’ ট্রেনের টিকিট শেষ পর্যন্ত বিক্রি না হয় সেক্ষেত্রে সেই টিকিট লাইন দিয়ে কাটতে হওয়া কাউন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মহিলা, শিশু ও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য টিকিটের দামে বিশেষ কোনও ছাড় নেই।

পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক:

 

‘সুবিধা’ ট্রেনে ওঠার আগে নিজের পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে ট্রেনে উঠুন। প্রত্যেক যাত্রীর ক্ষেত্রে ছবির পরিচয়পত্র বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়। এটি পরীক্ষাও করা হয় যাত্রার সময়ে। কোনও যাত্রীর কাছে পরিচয়পত্র না পাওয়া গেলে তাকে ট্রেন থেকে নেমে যেতে বলা হবে।

টিকিট বাতিল করার নিয়ম:

কোনও ‘সুবিধা ট্রেনে’ টিকিট কেটেও আপনি সেটা বাতিল করতে পারেন। তবে তারও নিয়ম আছে। ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের ন্যুনতম ছয় ঘণ্টা আগে অথবা ‘রিজার্ভেশন চার্ট’ প্রকাশিত (সেটি আরও আগে প্রকাশিত হয়) হওয়ার আগে টিকিট বাতিল করতে পারেন। সেক্ষেত্রে টিকিটের দামের ৫০ শতাংশ আপনি ফেরত পাবেন। আর ই-টিকিটের ক্ষেত্রে টিকিট বাতিল করার পর একই পরিমাণ টাকা আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অথবা ক্রেডিট কার্ডের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।