ট্রেনের যাত্রাতে শুধুমাত্র মনোরম দৃশ্যই নয় সঙ্গে আপনি যে রাজ্যে যাচ্ছেন সেখানকার বিভিন্ন স্বাদের ও আস্বাদ নেওয়া যায় | যে সব যাত্রী দিল্লির দিকে যান তারা “মথুরার পেরা” এবং “আগ্রার পেঠা” র সম্বন্ধে জানেন , কিন্তু এমন অনেক মুখে জল আনার মত সুস্বাদু খাবার আছে যা এখনো খাওয়াই হয়নি|
১. রতলাম স্টেশনের পোহা : এই স্টেশন বিখ্যাত হচ্ছে সুস্বাদু পোহার জন্য যা কাচা পেয়াজ আর সেব এর সাথে দেওয়া হয় | পরেরবার এখানে নেমে এটি খাবেন কিন্তু |
২. খরগপুরের আলু দম : খরগপুর রেলওয়ে স্টেশন বিখ্যাত হচ্ছে তার মুখরোচক আলু দমের জন্য | পরের বার আপনি যখন এখানে আসবেন তখন চেয়ে মশলা যোগ করে বিক্রেতা কে বাধিত করুন !
৩. আবু স্টেশনে সিল্কি রাবড়ি : মাউন্ট আবুর মনোরম চড়াই আরও বক্তি জিনিসের জন্য বিখ্যাত হচ্ছে আর তা হচ্ছে “রাবড়ি” | দুধ দিয়ে তৈরী এই মিষ্টি তে ড্রাই ফ্রুট যোগ করা হয় যা স্টেশনে আকর্ষনের বস্তু হচ্ছে|
৪. মাদ্দুর স্টেশনের মাদুর ভডা : গরমা গরম চায়ের সঙ্গে মাদুর ভডা যাত্রীদের মধ্যে খুব বিখ্যাত |
৫. সিএসটি তে বডা পাব : ভারতের নিজস্ব বার্গার যাতে আছে মসলাযুক্ত, চটপটা স্বাদ তা পাওয়া যায় ছত্রপতি শিবাজি ট্যার্মিনাসে | এটি মুম্বাইকরদের পছন্দের স্ন্যাক হচ্ছে এবং যাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয় |
৬ . অমৃতসরে “মালাই মারকে” লস্সি : অমৃতসর রেলওয়ে স্টেশনে সব থেকে ভালো লস্সি পাওয়া যায় যাতে মালাই আলাদা করে দেওয়া হয় এবং তাতে থাকে পাঞ্জাবের মধুরতা |
৭. মালদা আমসত্বের সঙ্গে আম উপভোগ করুন : এই শহর তার আমের জন্য বিখ্যাত এবং তার আমসত্ব বা আম্পাপারের স্বাদ একদম স্বর্গীয় হচ্ছে | স্টেশন থেকে এগুলো নিতে ভুলবেন না |
৮ . আনন্দে তাজা সুগন্ধিত দুধ : যেহেতু এই শহর দেশের সব থেকে বড় ডেয়ারি প্রোডাক্টের ব্র্যান্ড “আমূল” এর ঘর হচ্ছে আর আপনি এখানে নিশ্চিত ভাবে সুগন্ধিত দুধ পাবেন |
৯ . বর্ধমানের বিখ্যাত মিহিদানা : ভাল করে ভাজা ছোট চালের – মত শস্য চিনি-সিরাপ ডোবানো ; বর্ধমানের গর্ব হচ্ছে মিহিদানা | এই সুস্বাদু ডেজার্ট শুধুমাত্র বাংলার ঐতিহ্য হচ্ছে এবং স্টেশনে উপলব্ধ হচ্ছে|
১০. কালিকটের রঙ্গীন কজিখোড হালওয়া : কজিখোড হালওয়া সঙ্গে কলার চিপস সব থেকে সঠিক উপায় হচ্ছে এই ডেজার্টের আস্বাদ নেবার জন্য | কালিকট রেলওয়ে স্টেশনে এই হালওয়া তার সব থেকে শুদ্ধ রূপে পরিবেশন করে |
