আপনি যদি শান্ত পরিবেশে সমুদ্রের ধারে ছুটি কাটাতে চান তাহলে উদুপিই হল সেই জায়গা, এখানে সুন্দর সমুদ্রসৈকত রয়েছে যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য অনবদ্য এবং এখানে খুব বেশি মাত্রায় পর্যটক না আসায় এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যও অটুট রয়েছে। তাই আপনি যদি কর্নাটকে ঘুরতে আসেন তাহলে এই সমুদ্রসৈকতগুলিতে যেন অবশ্যই আসবেন।
মাল্পে সমুদ্রসৈকত
উদুপি শহর থেকে এই সমুদ্রসৈকতটি সবথেকে কাছে অবস্থিত (6 কিমির মধ্যে)। মাল্পে সমুদ্রসৈকতে সবথেকে কম মানুষের ভিড় চোখে পড়ে, তবে সপ্তাহান্তে এখানে আপনি হয়তো স্থানীয় মানুষদের পরিবারদের ঘুরতে দেখবেন এবং মনিপাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক ছাত্রছাত্রীদেরও এখানে ঘুরতে দেখবেন। সমুদ্রসৈকতে যাওয়ার রাস্তায় সুস্বাদু ও কম খরচের স্ট্রিট ফুড পেয়ে যাবেন যেখানে তাজা সামুদ্রিক খাবার পরিবেশন করা হয়। মাল্পেতে আপনি অফুরন্ত ভালো মানের রেস্তোরাঁ পাবেন তাই আপনি যদি খাদ্য প্রেমিক হোন তাহলে আপনার বেশ ভালোই লাগবে। যারা সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে আসেন তাদের বসার জন্য বেঞ্চ রয়েছে, আগতরা সেখানে বসে ঠান্ডা বাতাসকে অনুভব করতে পারবেন। তবে আপনি যদি একটু বিশ্রাম করতে চান তাহলে সেখানে বালুর উপরে হাতে বানানো ছোট্ট কোনও এক কুঠিরে একটি জায়গা বুক করে নিন।
সেন্ট মেরির দ্বীপ
মাল্পের তীরে অবস্থিত সেন্ট মেরির দ্বীপ আরব সাগরের বুকে চারটি ছোট্ট দ্বীপ নিয়ে তৈরি। মাল্পে সমুদ্রসৈকত থেকে এই সমস্ত দ্বীপে যাওয়ার জন্য নিয়মিত ভাবে ফেরি ব্যবস্থা আছে। সকাল 9টা থেকে শুরু করে বিকাল 5টা পর্যন্ত ফেরি ব্যবস্থা থাকে। এই 7 কিমি লম্বা ফেরি যাতায়াত করতে খরচ হবে 100 টাকা। স্তম্ভাকার বাসাল্টিক লাভা দিয়ে তৈরি এই দ্বীপগুলির এক অনন্য ভৌগোলিক পরিচিতি রয়েছে। এই দ্বীপে বিশাল বড় পাহাড় আছে আর আছে নারকেলের গাছ যা ঘুরে দেখতে আপনার খুবই ভালো লাগতে পারে।
কৌপ সমুদ্রসৈকত
পর্যটকদের কাছে কৌপ ততটা পরিচিত নয়, তবে ওই অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দা এবং ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এই শান্ত সমুদ্রসৈকতটি উদুপি থেকে প্রায় 12 কিমি দূরে অবস্থিত। উদুপি আর ম্যাঙ্গালোরের মাঝে NH-66 (আগে ছিল NH-17) এর পাশে অবস্থিত। মাল্পের তুলনায় এখানকার সমুদ্র অনেক বেশি অশান্ত। পাহাড়ে ভরা এক সমুদ্রসৈকত এটি এবং প্রবল জোয়ারের সময়ে এখানে জলে না যাওয়াই ভালো। এই সমুদ্রসৈকতের প্রধান আকর্ষণ হল 1901 সালে বানানো লাইটহাউস। তবে থেকে এটি এখনও একইভাবে বিরাজ করছে। লাইটহাউসটি প্রায় 89 ফুট লম্বা এবং আপনি কয়েক সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলে আশেপাশের পুরো অঞ্চলটিকে পাখির চোখে দেখতে পাবেন। অফুরন্ত সবুজে ভরা দৃশ্য এবং সার দিয়ে থাকা নারকেল গাছ আপনার চোখে বন্দি হয়ে থাকবে। সমুদ্রসৈকত জুড়ে কংক্রিটের বেঞ্চি রাখা আছে, আপনি চাইলে সেখানে বসে সমুদ্রের তীরে ঢেউ আছড়ে পড়ার শব্দ শুনতে আর উপভোগ করতে পারবেন।
নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন: উদুপি