কলকাতা , সিটি অফ জয় কে খাবারের শহরও বলা চলে | এখানকার সম্পূর্ন আলাদা এবং সুস্বাদু খাবার খাদ্য রসিকদের আকর্ষণ করে | আপনার কি কলকাতা যাবার বা ঘোরার কোন পরিকল্পনা আচ্ছে কি ? আমরা ওখানকার কিছু বিখ্যাত জায়্গার বিষয়ে কথা বলব যেখানে আপনি যেতে পারেন |
পুটিরামে জলখাবার : কলেজ স্ট্রীটের (সূর্য সেন স্ট্রীট)এই ১৫০ বছর পুরনো মিষ্টির দোকান বিখ্যাত হচ্ছে পরম্পরাগত বাঙালি জলখাবারের জন্য যেমন কচুরি , আলুর সবজি আর ছোলার ডাল | এখানকার জিলেবি নিশ্চয়ই খাবেন যা সকাল ৯ টা বাজার আগেই শেষ হয়ে যায় ! এটি এমজি রোড মেট্রো স্টেশন থেকে কাছেই |
প্যারামাউন্ট শরবত : ১৯১৮ তে স্থাপিত প্যারামাউন্ট কলেজ স্কোয়ারের উল্টোদিকে অবস্থিত এবং কিছু আরাম দায়ক পানীয়ের জন্য গন্তব্যস্থল হচ্ছে | এত বছর ধরে রাজনীতিবিদ , স্বাধীনতা সংগ্রামী , স্বর্ণযুগের ফিল্ম তারকা ইত্যাদি অনেকই প্যারামাউন্টে এসেছেন | জনপ্রিয় পানীয় হচ্ছে কোকা – মালাই, ডাবের শরবত , ম্যানগো মালাই , রোজ সিরাপ এবং তেঁতুলের সিরাপ |
বাঙালির লাঞ্চ ইয়ং বেঙ্গল হোটেলে : এই ৮৭ বছর পুরনো আউটলেটে পরম্পরাগত বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হয় | খিদিরপুরে স্থিত এই রেস্তরাতে মাছের ঝোল এবং সবজি ভাতের সঙ্গে দেওয়া হয় যা একবার অন্তত খাওয়া উচিত |
আমিনিয়ার সুস্বাদু বিরিয়ানি : শহরের মধ্যেখানে অবস্থিত আমিনিয়া জনপ্রিয় হচ্ছে তার মুঘ্লাই খাবারের জন্য | এক প্লেট বিরিয়ানির সঙ্গে চিকেন রেজালা বা চিকেন চাপ অর্ডার করুন আর আপনি নিজের আঙ্গুল চাটতে থাকবেন | খাবার পর ফিরনি নিশ্চই খাবেন |
মিত্র ক্যাফেতে জলখাবার : শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনের উল্টোদিকে স্থিত এই দোকানের কবিরাজি (মাটন, চিকেন এবং মাছ)একবার খেতেই হয়|ডিপ ফ্রাই করা মাংসের টুকরো যার মধ্যে ডিমের রুপালি পরত তাকে কবিরাজি বলে | কবিরাজি ছাড়া ফিস ডায়মন্ড ফ্রাই , ফাউল কাটলেট , ডিমের ডেভিল (ডিপ ফ্রাই করা ডিম যার মধ্যে বিশেষ পুর আছে)এবং ব্রেন চপ যা মিস করা উচিত নয় |
গোলবাড়িতে কষা মাটন : এর নামই বাঙালিদের মুখে জল নিয়ে আসে | কষা মাটন আর রুটি বাঙালি খাবারের অনুরূপ হচ্ছে যার স্বাদ অনেক গুন বেড়ে যায় | এই রেস্তরা সলে একটি ছোট কামরা হচ্ছে না কি কোন জমকালো দোকান , যা শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের কাছে স্থিত | অরোরা পরিবার তিন প্রজন্ম ধরে এই গোলবাড়ি চালাচ্ছে এবং কেউ জানেনা যে তারা কোন গোপন উপাদান এই কষা মাংশ (মাটন)তে মেশায় যার ফলে তা এত সুস্বাদু হয়!
