জয়পুরে বেড়াতে যাবেন আর রাজস্থানী খাবার খেয়ে দেখবেন না তা হয় না। রাজস্থানী খাবারের আস্বাদে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খাবার প্রিয় মানুষেরা এখানে আসেন! আপনি কোনো দিন জয়পুর ঘুরতে গেলে রাজস্থানী খাবারের এই জায়গাগুলিতে যেতে ভুলবেন না কিন্তু।
রাবত মিষ্ঠান্ন ভান্ডার
এখানকার পিয়াজের এবং ডালের কচুরি খুবই বিখ্যাত। প্রতি দিন এখানে 10,000টির বেশি কচুরি বিক্রি হয়। পিয়াজের কচুরি এখানকার বিশেষত্ব। দোকানটি জয়পুর রেলওয়ে স্টেশন এবং বাস স্ট্যান্ডের খুবই কাছেই।
ঠিকানা – পোলোভিক্টরি সিনেমার উল্টো দিকে, স্টেশন রোড, সিদ্ধি ক্যাম্প
1135 এডি
এখানে রাজস্থানী ঘরানার সবথেকে জনপ্রিয় সব খাবার পাওয়া যায়। জয়পুর শহর থেকে 11 কিলোমিটার দূরে অম্বর ফোর্টে আছে। এখানে আসলে লাল মাস, পনীর আফতাব, সুলা বিরিয়ানি এবং জঙ্গলি মাস খেয়ে দেখতে ভুলবেন না কিন্তু।
ঠিকানা – লেভেল 2, জালেব চক, শীলা মাতা মন্দিরের কাছে, আমের প্ল্যালেস, আমের
তাপরি সেন্ট্রাল
তাপরি সেন্ট্রালে চিরাচরিত খাবারের সাথে নতুনত্ব যোগ করে পরিবেশন করা হয়। এখানকার চীজ ফুচকা, পেস্তো খাকরা পিজ্জা, ইশপেভিয়াল বড়া পাও খুবই জনপ্রিয়। এখানে বিভিন্ন ধরনের চা পাওয়া যায় যা আপনার মিস করা উচিত হবে না।
ঠিকানা – B4 E, থার্ড ফ্লোর, সুরানা জুয়েলার্স, সেন্ট্রাল পার্কের বিপরীতে, পৃথিবীরাজ রোড, সি স্কিম
চৌকি ধানি
চৌকি ধানি রেস্তোরাঁটি খোলা আকাশের নীচে। এখানে আসলে আপনি ভারতীয় গ্রাম্য জীবনের আবহ উপলব্ধি করতে পারবেন। এখানে আপনি খাটি ঘি দিয়ে ডাল বাটি চুরমা খাওয়ার সুযোগ পাবেন। খাওয়াদাওয়া ছাড়াও আপনি ঘোড়ার চড়তে পারবেন, গোলকধাঁধা, গ্রামীণ নৃত্য এবং মানুষ পুতুলের মজা নিতে পারবেন।
ঠিকানা – চৌকি ধানি ভিলেজ, 12 মাইল টঙ্ক রোড, ভাটিকা হয়ে
স্পাইস কোর্ট
এখানে মশালাদার রাজস্থানী খাবার পাবেন। ডাল বাটি চুরমা এখানে “কীমা বাটি” নামে বিখ্যাত (মশালাদার কীমার পুর দিয়ে বানানো হয়)। এখানকার জঙ্গলি মাস খেয়ে দেখতে ভুলবেন না কিন্তু।
ঠিকানা – হারি ভবন, আচরোল হাউস, জেকব রোড, সিভিল লাইনস
এখানকার খাওয়াদাওয়া যেমন আপনার ভালো লাগবে তেমনি রাজস্থানের অতিথি সেবার আন্তরিকতাও আপনার নজর কাড়বে।
“পাধাড়ো মারে দেশ!”